ডেঙ্গুতে আরও ৫ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬৩৬
এ সময়ে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৩৬ জন ডেঙ্গু রোগী। এ নিয়ে নভেম্বর মাসজুড়ে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৪ হাজার ৫৩১ জনে, যা এ বছরের সব মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। চলতি বছরের মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজার ৪০২ জনে।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি ভর্তি হয়েছে ঢাকা বিভাগে ৩৩৭ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের বাইরে ১১৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৪৭ জন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৪ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এরপর নতুন করে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে যথাক্রমেÑ চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৫ জন, বরিশাল বিভাগে ৭৫ জন, খুলনা বিভাগে ৫৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৭ জন, সিলেট বিভাগে ৯ জন এবং রংপুর বিভাগে ২ জন। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮০৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯২ হাজার ২৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে—চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩ জন, জুনে ৫ হাজার ৯৫১ জন, জুলাইয়ে ১০ হাজার ৬৮৪ জন, আগস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ জন, সেপ্টেম্বরের ১৫ হাজার ৮৬৬ জন, অক্টোবরে ২২ হাজার ৫২০ জন এবং নভেম্বরে ২৪ হাজার ৫৩০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। মৃত্যুর সংখ্যায় দেখা যায়—জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন, এপ্রিলে ৭ জন, মে মাসে ৩ জন, জুনে ১৯ জন, জুলাইয়ে ৪১ জন, আগস্টে ৩৯ জন, সেপ্টেম্বরে ৭৬ জন, অক্টোবরে ৮০ জন এবং নভেম্বরের শেষ দিন পর্যন্ত ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গুর তথ্য সংরক্ষণ করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন আক্রান্ত ও ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু ঘটে—যা দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুর সবচেয়ে ভয়াবহ বছর হিসেবে বিবেচিত।